Monday, October 21, 2013

চলুন ঘুরে আসি চলনবিল

বাংলাদেশ খুব একটা বড় দেশ নয় যদি ইচ্ছা করেন তাহলে পুরা দেশটাকেই চক্কর মারতে পারবেন খুব সহজেই । তবে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের দেশের প্রতিটি দর্শনিয় স্থান সমন্ধেই জানা উচিৎ । তেমনি বেরানোর মত একটি স্থান হল চলনবিল । নিচের ছবি গুলোর জন্য আমি সম্পূর্ণ ক্রেডিট দেই ফেসবুকের আমাদের নাটোর পেজকে । চলনবিল ভ্রমনের তথ্যের জন্য ছবি গুলোর নিচে লক্ষ করুন ।





আপনি যদি বাংলাদেশের যেকন স্থানে বসবাস করেন এবং চলনবিলে একবারের জন্য হলেও ভ্রমন করতে আগ্রহী হন তাহলে এই পোস্টটি অবশ্যই আপনাকে সাহায্য করবে । চলনবিলের প্রধান আর্কষণ হল এই বিল সচারচর বাংলাদেশের আর দশটি বিলের মত না । কারন বর্ষা মৌসুমে এই বিলে পানি স্রতের ধারায় প্রবাহিত হয় । সচারচর বিলে স্রোত দেখা যায় না কিন্তু চলনবিলের নামকরনের সাথেই চলন কথাটার একটা সার্থকতা আছে । বর্ষা মৌসুমে বিলের উত্তর পশ্চিম দিক থেকে স্রতের ধারায় পানি বিলের ভেতরে প্রবেশ করে এবং পূর্ব দক্ষিন দিক দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বের হয়ে যায় । চলনবিলের পানি প্রধান উৎস আত্রাই নদী । গ্রীষ্য মৌসুমে ধান চাষের জন্য অত্রাই নদীর পানিকে কৃত্তিমভাবে রাবারড্রাম প্রকল্পের মাধ্যমে চলনবিলের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত করা হয় এবং যার ফলে হাজার হাজার ধান চাষি উপকৃত হয় নদীর পনি দিয়ে ধান চাষের মাধ্যমে । যাইহোক এবার আসি মুল প্রসংঙ্গে আপনি কিভাবে চলনবিলে আসবেন এবং চলনবিলে এলে দেখার মতই বা কি আছে ? যেহেতু চলনবিল উত্তর বঙ্গের নাটোর সিরাজগঞ্জ এবং পাবনা জেলার মধ্যে আবস্থিত সেইজন্য আপনি যদি সিলেট ঢাকা অথবা চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে আসতে চান তাহলে আপনাকে আসতে হবে ঢাকা হয়ে, ঢাকা থেকে রাজশাহীর গাড়িতে সিরাজগঞ্জ আথবা নাটোরের কাছিকাটা তে নামবেন । কাছিকাটা দিয়ে যাবার ক্ষেত্রে কাছিকাটা থেকে ৮ কি.মি দুরে চাঁচকৈর বাজার । চাঁচকৈর বাজার থেকে ৫-৬ কি. মি. দুরে চলনবিলের প্রান্ত ঘেষে খুবজীপুর গ্রামে গড়ে উঠা চলনবিল জাদুঘর । আর চলনবিল জাদুঘরের পরেই পাবেন সেই কাংঙ্খিত চলনবিল । আপনি যদি দক্ষিন বঙ্গ থেকে অর্থৎ খুলনা আথবা বরিশাল থেকে আসতে চান তাহলে আপনাকে খুলনা রুট ব্যবহার করে আসতে হবে । খুলনা খেকে ঢাকার গাড়িতে (যে গাড়িগুলা যমুনা ব্রীজ হয়ে যায়) সেই গাড়িতে চরে নামতে হবে একই রুট সেই কাছিকাটা অথবা সিরাজগঞ্জ । তারপরে একইভাবে পৌছে যাবেন চলনবিল জাদুঘরে । তারপর চলনবিল ভ্রমন শুরু । ইচ্ছা করলে আপনি চলনবিল জাদুঘর ভ্রমন করেই চলনবিলের উদ্দেশ্য  বেরতে পারেন । অথবা চলনবিল ভ্রমন শেষে আপনার অভিজ্ঞতা নিয়ে চলনবিল জাদুঘর ভ্রমন করতে পারেন । আসলে চলনবিলতো আনেক বড় যায়গা তাই এক যায়গাতে ঘুরে এর কিছুই দেখা সম্ভব না । তাই আগেই পরিকল্পনা করে নেওয়া ভাল যে আপনি কোথায় কোথায় ঘুরতে যাবেন । আপনি বর্ষা মৌসুমে যদি কখনো ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন যমুনা সেতু পার হবার পর থেকে সিরাজগঞ্জ থেকে নাটোর যাবার সংযোগ সরকে আপনি নিশ্চিত ভিন্ন ধরনের এক অনুভতি পাবেন । রাস্তার দুই পাশে নিরব পানির ঝলকানি তাকালে যেন চোখ জুরিয়ে যায় । যখন আপনি চলনবিলের মাঝদিয়ে ভ্রমন করবেন দেখবেন চলনবিলের মাঝে প্রতিটি গ্রামকে মনে হবে এক একটি করে দ্বীপ । বর্ষা মৌসুমে ওই গ্রামগুলাতে যাবার একমাত্র উপায় নৌকা । অন্যরকম এক ভাললাগা কাজ করে বিল ভ্রমনে বের হলে । তবে মনে রাখবেন বিল ভ্রমনে বেরনোর আগে অবশ্যই চারপাশের আবহাওয়ার আবস্থা নিশ্চিৎ হওয়া চাই । কারন বিল দেখতে সুন্দর হলেও বিলের ওই বড় বড় ঢেই গুলো কিন্তু আপনার জীবনকে আসুন্দর পর্যায়ে নিয়েযেতে দ্বিধা করবে না । তাই বিল ভ্রমনে বের হবার আগে আরেকবার করে আবহাওয়া পরিস্থিতি পরখ করে নিন । আজকে আর চলনবিলের দর্শনিয় স্থান নিয়ে আলোচলা করতে পারছিনা । ক্লান্তি এসে পরেছে সামনের পোস্টে আলচনা করে তার লিংঙ্কটি এখানে দিয়ে রাখবো । সবার সুন্দর ভ্রমন প্রত্যাশায় আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি ।

0 comments:

Post a Comment